বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (LDDP) হলো বাংলাদেশের একটি উন্নয়ন প্রকল্প, যা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে. এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো-
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পরিচালিত এই প্রকল্পটি ২ মিলিয়ন ক্ষুদ্র খামারি ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের কৃষি উৎপাদনশীলতা ও বাজার সংযোগ উন্নত করতে সহায়তা করবে. এটি খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাণিসম্পদের কল্যাণ সম্পর্কিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য কাজ করছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে:
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন, দক্ষতা অর্জন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
বরগুনায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে (LDDP) ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগঃ
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (LDDP)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ৬১টি জেলায় প্রাণিসম্পদ খাতে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বরগুনা সদর উপজেলায় কোটবাড়িয়ায় একটি গরুর খামার ঘর নির্মানের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে এর কাজ শুরু করা হলেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শুরু থেকেই এ প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পর ভেঙে পুনরায় কাজ শুরু করা হয়েছিল। এরপর থেকে কাজের তেমন কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। গত ৪মাস ধরে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন সময়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার কতৃক বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ দাবী করা এবং সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গের উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কন্ট্রাকটর সরকারি নির্ধারিত নকশায় কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আর কাজ করবেনা বলে কাজ বন্ধ রেখে চলে গেছে। আরেকজন জানান, এই প্রকল্পের অন্যান্য উপজেলার কাজগুলোতে কোথাও বসতভিটা, কোথাও দোকান, কোথাওবা অফিস তৈরি করে প্রকল্পের কাজে অসদুপায় অবলম্বন করে আসছে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উর্ধ্বতন অনেকে জেনেও বিষয়টি চেপে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক ডাঃ মোঃ জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন