উপাচার্য পদপ্রার্থীদের যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে অন্তত ২০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১৫ বছর হলেই চলবে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, ছাত্রকল্যাণ এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি কোনো আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক বা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকলে তা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

গবেষণা ও প্রকাশনার ক্ষেত্রেও রয়েছে কঠোর মানদণ্ড। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জার্নালে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষণা ও প্রবন্ধ প্রকাশ থাকতে হবে। বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৬২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৫ জুন ২০২৫ বিকেল ৫টার মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র পাঠাতে হবে সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা বরাবর।

এর আগে উপাচার্য পদে নিয়োগ সাধারণত সরকারের প্রত্যক্ষ সিদ্ধান্ত বা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সুপারিশের ভিত্তিতে হতো। কিন্তু এবার তা বদলে একটি উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতি দেশে উচ্চশিক্ষা প্রশাসনে গুণগত পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার গত বুধবার (৪ জুন) জানান, উপাচার্য নিয়োগের জন্য একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। তার এ বক্তব্যের পরদিনই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, আগ্রহীরা আবেদন করবেন এবং পরে যাচাই-বাছাই শেষে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।