ইরান-ইসরায়েল সংঘাত কোনদিকে যাচ্ছে? - প্রজন্ম ২৪ বিডি
প্রজন্ম ২৪ বিডি
২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত কোনদিকে যাচ্ছে?

ছয় মাসের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ইরানের হামলার পর একদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন ‘ইরানকে মূল্য দিতে হবে’। অন্যদিকে, ইসরায়েল যদি জবাব দেয়ার চেষ্টা করে, আবারো পাল্টা হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান।
হামাস, হেজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা ও ইরানের কমান্ডারদের হত্যার জবাব হিসেবেই মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড।
বিবিসি’র আন্তর্জাতিক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন তার বিশ্লেষণে বলছেন, ইরান ‘সিরিয়াস ড্যামেজ’ (গুরুতর ক্ষতি) ঘটানোর চেষ্টা করেছিল বলেই দেখা যাচ্ছে। ফলে ইসরায়েলের জবাব কী হয় সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
বিবদমান দুই দেশ এবং তাদের মিত্রদের তৎপরতায় মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি কোনদিকে যেতে পারে?

এ ব্যাপারে মি. বোয়েন এবং বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্র্যাংক গার্ডনারের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে।
গত এপ্রিলে ইরান যখন ইসরায়েলে আক্রমণ করে, তখন দৃশ্যমান কিছু একটা কিছু করে দেখানোর প্রচেষ্টাটা লক্ষণীয় ছিল।
কিন্তু সেটা একটা প্রচেষ্টা হিসেবেই থেকে যায়, কারণ সেবার তাদের প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্রই ইসরায়েলি এবং আমেরিকান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে ভূপাতিত হয়।
এবারের ব্যাপারটা ভিন্ন। ইরান গুরুতর ক্ষতি করার চেষ্টাতেই জোরদার আঘাত হেনেছে বলে মনে হচ্ছে। এবার অনেক বেশি আগ্রাসী তাদের প্রচেষ্টা।

ইসরায়েলিদের মনোভাব
এপ্রিলে নেতানিয়াহুকে বড় ধরনের পাল্টা হামলা চালাতে বারণ করেছিলেন জো বাইডেন। তাতে ইসরায়েলেরই জয় হবে বলে অভিমত ছিল তার। ইসরায়েলও সেবার জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তবে গতবার ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সহযোগীরা দেশটিকে যেভাবে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছিলো এবার তেমনটি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এখন ইসরায়েলে ভিন্ন হাওয়া বইছে।
গতরাতে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের করা টুইটের দিকে তাকালে এর একটা আভাস পাওয়া যায়। বেশ কড়া ভাষা ব্যবহার করেছেন মি. বেনেট।
তিনি লিখেছেন, “৫০ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা পাল্টে দেয়ার।”
ইরানের “সন্ত্রাসী সরকারকে মারাত্মকভাবে পঙ্গু করে দিতে” তাদের পরমাণু অবকাঠামোর দিকে নজর দেয়া উচিত ইসরায়েলের, এমনটা মনে করছেন মি. বেনেট।
তিনি যদিও এখন প্রধানমন্ত্রী নন। তবে, ভবিষ্যতে হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে ধারণা করা হয়, নিজেকে কঠোর হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা হয়তো সেজন্যই। কিন্তু তার বক্তব্য নিশ্চিতভাবেই দেশটির নাগরিকদের অন্তত একাংশের মনোভাবের প্রতিফলন।
এই মুহূর্তে ইরানের অর্থনীতির ক্ষতির কারণ হতে পারে এমন যেকোনো কিছুতে ইসরায়েলের হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে মনে করেন জেরেমি বোয়েন। হতে পারে সেটি পরমাণু প্রকল্প কিংবা পেট্রোকেমিক্যাল স্থাপনা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, সন্তোষ প্রকাশ জামায়াতের

ঈদের দিন বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

ঈদ করছেন কোথায় জামায়াতের শীর্ষ নেতারা?

চাঁদাবাজি নিয়ে যা বললেন রিজভী

জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘোষণা করলেন প্রধান উপদেষ্টা

ঈদে বর্জ্য অপসারণে ঢাকায় থাকবে এনসিপির স্বেচ্ছাসেবক

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস

সময়মতো লঞ্চ না ছাড়লে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঈদের পর কঠোর আন্দোলনে নামছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

১০

ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

১১

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সচেষ্ট রয়েছে সরকার : উপদেষ্টা আসিফ

১২

চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়

১৩

স্কলারশিপে পড়ুন যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ে, আবেদন স্নাতকে

১৪

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা

১৫

মার্কিন নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান স্থগিত করল চাদ

১৬

মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ উদযাপন

১৭

দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়

১৮

ঈদে পর্যটকদের জন্য সুখবর

১৯

বরকতউল্লা বুলু ও শামসুজ্জামানকে সতর্কীকরণ নোটিশ দিল বিএনপি

২০