কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের টানা দুই দিনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর পর ২০ জুলাই শনিবার সারাদেশে কারফিউ জারি করে তৎকালীন সরকার। শুরুতে রাত ১২টা থেকে দুপুর ১২টা এবং পরে বিকেল ২টা থেকে তা ২১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনা টহল বৃদ্ধি ও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়।
এই দিন ঢাকায় অন্তত ৩০ জনসহ সারাদেশে নিহত হন ৩৯ জন। ময়মনসিংহ, গাজীপুর, সাভার ও নরসিংদীতেও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে আহত হন দুই হাজারেরও বেশি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ঢাকার যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, সায়েন্সল্যাব, উত্তরা ও খিলগাঁওয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রাজধানীতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। মিরপুরে কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সরকারবিরোধীদের হাতে চলে গেছে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমর্থক সন্ত্রাসীরা জ্বালাও-পোড়াও ও সহিংসতা চালাচ্ছে।
অন্যদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়ক দাবি করেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাঁদের ব্যানার ব্যবহার করে কেউ যদি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, জ্বালাও-পোড়াও করতে চায়, এটা তাঁরা সমর্থন করবেন না।
শুক্রবার রাতেই মন্ত্রীরা আন্দোলনকারীদের তিন সমন্বয়কের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা আট দফা দাবি পেশ করেন, যা মানলে কেবল মূল দাবিতে আলোচনা হবে বলে জানান।
মন্তব্য করুন