বিষধর সাপ কামড়ালে প্রাথমিকভাবে করনীয় - প্রজন্ম ২৪ বিডি
স্বাস্থ্য ডেস্ক
৮ জুলাই ২০২৫, ৫:৫২ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

বিষধর সাপ কামড়ালে প্রাথমিকভাবে করনীয়

বর্ষাকাল এলেই বাড়ে বিষধর সাপের উপদ্রব। এতে অনেক সময় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। শিশুরা বাইরে খেলতে গিয়েও সাপের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। বর্ষা এলেই সাপ নিয়ে অনেকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। তাই আগে জানা জরুরি সাপ কামড়ালে প্রথমে কি করতে হবে। এছাড়া সাপে কামড়ের লক্ষণগুলো কী কী।

সাপের কামড়ের চিহ্ন কীভাবে সনাক্ত করতে হয় এবং শনাক্তের পর চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে প্রাথমিক চিকিৎসা কীভাবে করা উচিত তাও জানা প্রয়োজন।

সামাজিক মাধ্যমে সাপের কামড় নিয়ে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেন পশ্চিম বাংলার চিকিৎসক ডা. বিকাশ কুমার (নিউরো এবং স্পাইন সার্জন, ন্যাশনাল চিফ অ্যাডভাইজার)। তিনি জানান, সাধারণত একটি বিষাক্ত সাপের কামড়ে দুটি ছোট ছোট চিহ্ন তৈরি হয়। যদি অনেকগুলো ছোট চিহ্ন হয় তবে বুঝতে হবে এটি বিষাক্ত সাপের কামড় নয়।

দক্ষিণ এশিয়ায় কয়েক শতাধিক প্রজাতির সাপ রয়েছে, এর মধ্যে ৪টি সবচেয়ে মারাত্মক। এগুলো হলো, সাধারণ কোবরা, স’-স্কেলড ভাইপার, সাধারণ ক্রেইট এবং রাসেলস ভাইপার। বিষাক্ত সাপের উপরের অংশটি ত্রিভুজাকার হয়, অন্য দিকে, যে সব সাপের বিষ নেই সেসব সাপ স্বাভাবিক থাকে।

সাপে কামড়ালে কী করা উচিত? 

সাপের কামড় সনাক্ত করার পর অনতিবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে হবে এবং ওই ব্যক্তিকে সাপ থেকে দূরে নিয়ে যেতে হবে। যদি সাপটি হার্টের নিচের অংশে কামড়ায় তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শুইয়ে দিতে হবে। বিষের বিস্তার রোধ করতে, ব্যক্তিকে শান্ত রাখতে হবে। এরপর একটি পরিষ্কার ব্যান্ডেজ দিয়ে ক্ষত স্থানটিকে ঢেকে এর চারপাশে আঁটোসাঁটো করে সুতো দিয়ে বাঁধতে হবে। যদি কোনও সাপ পায়ে কামড় দেয় তবে জুতো খুলে ফেলতে হবে এবং দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

সাপের কামড়ে যা করা উচিত নয় 

» যতক্ষণ না ডাক্তার কিছু ওষুধ দিতে বলেন ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও ওষুধ না দেওয়া
» ক্ষত হৃৎপিণ্ডের উপরের অংশে থাকলে সেটিকে কাটার চেষ্টা না করা।
» বিষ চুষে নেয়ার চেষ্টা না করা।
» ক্ষতস্থানে বরফ দিয়ে না ঘষা।
» ব্যক্তিকে ক্যাফিন বা অ্যালকোহলযুক্ত জিনিস না দেওয়া।
» ভুক্তভোগীকে হাঁটতে না দেয়া।
» এ্যাম্বুলেন্স বা গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া।

সাপের কামড়ের লক্ষণ

» বিষ ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগীর বমি হওয়া।
» শরীর শক্ত হয়ে যাওয়া বা শরীরে কাঁপুনি আসা।
» অ্যালার্জি, চোখের পাতা ঝরে যাওয়া।
» ক্ষতস্থানের চারপাশ ফুলে যাওয়া।
» ক্ষতস্থানে জ্বালাপোড়া করা ও লাল হয়ে যাওয়া।
» ত্বকের রঙ পরিবর্তন, ডায়রিয়া, জ্বর, পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি-বমি ভাব, পক্ষাঘাত, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, ক্লান্তি, পেশিতে দুর্বলতা, তৃষ্ণা বোধ, নিম্ন রক্তচাপ ইত্যাদি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সেনাপ্রধানের বার্তা

সারাদেশে সেনা মোতায়েন

সালাহউদ্দিনকে নিয়ে কটূক্তি, বিএনপির তীব্র নিন্দা

এনসিপির দুই নেতার পদত্যাগ

ঢাবিতে ছাত্রলীগের ১২৮ জন বহিষ্কার

চিত্রশিল্পী হামিদুজ্জামান খান আর নেই

সহনশীল হন, নইলে বিপদ : রাশেদ খাঁন

ঋণের চাপে আত্মহত্যা করলেন যুবক

চলতি মাসেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত হবে : আলী রীয়াজ

হাসিনাকে মানবজাতির কলঙ্ক বললেন মির্জা ফখরুল

১০

নাসীরুদ্দীনের বক্তব্য নিয়ে রাশেদের স্ট্যাটাস    

১১

সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন

১২

২০ বছর কোমায় থাকার পর সৌদি প্রিন্সের মৃত্যু

১৩

ব্রিটেনে সম্পত্তির মালিকানা ছাড়ছেন হাসিনা-ঘনিষ্ঠরা

১৪

সাবেক মন্ত্রী-আমলাসহ ৩৯ আসামি ট্রাইব্যুনালে

১৫

ড. ইউনূসকে কৃতজ্ঞতা জানালেন জামায়াত আমির

১৬

ভারতে ২৮ বাংলাদেশিকে ২ বছর কারাদণ্ড

১৭

খাতা অন্যকে দিয়ে মূল্যায়ন করালে ২ বছর জেল : ঢাকা বোর্ড

১৮

রাজনৈতিক দলের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে সরকার : ড. ইফতেখারুজ্জামান

১৯

আজকের আবহাওয়া

২০