রাজধানীর পুরান ঢাকায় দিনের আলোতে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে। গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় চলমান চাঁদাবাজির মহোৎসবের প্রেক্ষাপটে এ হত্যাকাণ্ড যেন আরও ভয়াবহ বার্তা দিল আমাদেরকে।
আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে—যেখানে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, দখলদারি থাকবে না। কিন্তু দৃশ্যপট এখনো বদলায়নি।
বিএনপির ইশরাক হোসেনকে একসময় বলা হতো ‘জনতার মেয়র’। অথচ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের অধীনে যে অবৈধ নির্বাচনে তিনি অংশ নিয়েছিলেন, সেটি যদি সুষ্ঠু হতো, তাহলে হয়তো তিনি মেয়র হতেন।
এরপর নিজেকে ‘জনতার মেয়র’ হিসেবে পরিচয় দিলেও, কালে কালে হয়ে উঠলেন কেবল একটি গোষ্ঠীর নেতা। জনতার কাতার থেকে ছিটকে গিয়ে একদম দলের রাজনীতিতে গণ্ডিবদ্ধ হয়ে পড়লেন।
তারপর? নগর ভবন দখল, নিজেকে অবৈধভাবে মেয়র ঘোষণা, সরকারের প্রতি প্রকাশ্য হুমকি—সবকিছুই ঘটতে থাকলো। আর এই সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও প্রশাসনের অব্যাহত নীরবতা ও নির্লিপ্ততা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। কেন তারা সংলাপের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করতে ব্যর্থ হলো? সরকার ও ইশরাকের মধ্যকার বিরোধই চলমান এ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ঘটনাপ্রবাহে মনে হচ্ছে, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে একটি নির্দিষ্ট দলকে ফ্যাসিস্ট হতে সহযোগিতা করছে।
আমি স্পষ্টভাবে বলি, পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী সোহাগকে যেভাবে পাথর দিয়ে হত্যা করা হলো, তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে। সেই সঙ্গে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতাও সমানভাবে দায়ী। যদি দ্রুত বিচার নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে তারাও সমান অপরাধে অংশীদার হয়ে যাবে।
ডা. এসএম খালিদুজ্জামান
জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, ঢাকা-১৭
মন্তব্য করুন