বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে রায় ঘোষণা শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ রায় ঘোষণা শুরু করে। বেঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী।
গত ১৩ আগস্ট এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। শুনানিতে ছিলেন রিট পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এছাড়া ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
রুল জারি হয় গত ২৩ এপ্রিল। একই দিনে শুনানিও শুরু হয়। বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই ১১৬ অনুচ্ছেদ চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। প্রধান বিচারপতি এই মামলার জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন ২০ এপ্রিল।
আগে মামলাটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিল। কিন্তু ২৪ মার্চ তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হওয়ায় বেঞ্চ ভেঙে যায়। এরপর রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির নতুন বেঞ্চের আবেদন করেন।
রিটটি ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট দায়ের করা হয়। ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে মূল ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের নির্দেশ চান তারা। এরপর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চায়, বিদ্যমান ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক নয়।
বর্তমান সংশোধিত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অধস্তন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ, পদোন্নতি, বদলি ও শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির অধীন।
অপরদিকে, ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে এই নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান ছিল সুপ্রিম কোর্টের অধীন। এই পার্থক্যের কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ বর্তমান নিয়মে নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলায় প্রভাব বিস্তার করছে।
মন্তব্য করুন