থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই দেশটির পার্লামেন্ট অনুতিন চার্নভিরাকুলকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং ভুমজাইথাই পার্টির নেতা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার পদচ্যুতির পর ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার এই পরিবর্তন ঘটে।
এটি দেশটির দুই বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তন। অনুতিনের দল ভুমজাইথাই ফিউ থাই পার্টি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বেরিয়ে এসে সংসদে পর্যাপ্ত সমর্থন অর্জনে সক্ষম হয়, যার ফলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। যদিও নতুন নেতৃত্ব গঠন হয়েছে, তবুও থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত।
অনেকের মতে, এই পরিবর্তন সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য একটি বড় ধাক্কা। ২০০১ সালে থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই পরিবারটি থাই রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বজায় রেখেছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আদালতের রায় ও সামরিক হস্তক্ষেপের কারণে তাদের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর রাতে থাকসিন সিনাওয়াত্রা একটি ব্যক্তিগত বিমানে দেশ ছাড়েন, যা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। পরদিন তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য দুবাই গেছেন এবং ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য দেশে ফিরবেন। তবে ফেরার পর তার কারাগারে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সিনাওয়াত্রা পরিবারের নীতিগুলো সাধারণ মানুষের মাঝে জনপ্রিয় হলেও ব্যাংককের রক্ষণশীল এবং রাজতন্ত্রী অভিজাত গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সংঘাত দীর্ঘদিনের। থাকসিন ও তার বোন ইংলাক উভয়ই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০০৬ ও ২০১৪ সালে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পেতংতার্নের প্রধানমন্ত্রী হওয়াকে অনেকেই রাজনৈতিকভাবে পরিবারটির প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখছিলেন। তবে তার অপসারণ প্রমাণ করে, দেশটির ক্ষমতার ভারসাম্যে এখনো রক্ষণশীল গোষ্ঠীর প্রভাবই প্রবল।
মন্তব্য করুন