ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রেস্টুরেন্টে প্রথম বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে ভোজের আয়োজন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) শহীদুল্লাহ হলের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে চাঁনখারপুলের রাজধানী হোটেলের দ্বিতীয় তলায় এ ভোজের আয়োজন করা হয়।
প্রাথমিকভাবে এ আয়োজনের পেছনে চারজন প্রার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। প্রার্থীরা হলেন ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী এহসানুল ইসলাম, শহীদুল্লাহ্ হল সংসদের ভিপি পদপ্রার্থী মাসুম বিল্লাহ, সদস্য প্রার্থী রিয়াদুস সালেহীন এবং আবু নাঈম।
এ প্রার্থীদের মধ্যে শহীদুল্লাহ হল সংসদের ভিপি প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ ২০২২ সালে ছাত্রলীগের হয়ে ছাত্রদলের উপর হামলা করতে গিয়ে আহত হন। সদস্য প্রার্থী রিয়াদুস সালেহীন যে প্যানেল থেকে নির্বাচন করছে তা বাগছাসের প্যানেল বলে অভিযোগ রয়েছে। ঐ প্যানেলের ১১ জনের মধ্যে ৫ জনই বাগছাসে পদধারী নেতা। ঐ প্যানেলে ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটির ৩ জন নেতাও রয়েছে। এ ছাড়া আরেক সদস্য প্রার্থী আবু নাইম বাগছাস এর ঢাবি শাখার সদস্য।
রাজধানী হোটেলের অভ্যন্তরে এ প্রার্থীদের ভোজের একাধিক ছবি প্রতিবেদকের হাতে আসে। সেখানে দেখা যায়, টেবিলে বসে শিক্ষার্থীরা খাওয়াদাওয়া করছেন, আর অভিযুক্ত চারজন দাঁড়িয়ে এবং হেঁটে তাদের দেখাশোনা করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের প্যানেলের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসানুল ইসলাম বলেন, আমাকে আমার এক জুনিয়র খাওয়ার জন্য ডেকেছে। আমরা একসাথে খেয়ে ওখান থেকে চলে এসেছি। এখানে কে বা কারা আমাদের ছবি তুলে মব তৈরীর চেষ্টা করছে।
ছবির বিষয়ে তিনি বলেন হোটেলে তো অনেকেই থাকবে। সেখানে তাদের বাকিদের সাথে আমার সম্পর্ক নেই।
শহীদুল্লাহ্ হল সংসদের ভিপি প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ভোজের আয়োজন আমি করিনি। আমি নিজের খাওয়াদাওয়া করতে সেখানে গিয়েছি। সেখানে আমি কোনো আয়োজক ছিলাম না। খাওয়ার জন্য কাউকে ডাকিনি। ওখানে আমি অনেককে দেখেছি৷ কিন্তু তারা কারা আমি জানি না।
শহীদুল্লাহ হল সংসদে বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের সদস্য প্রার্থী আবু নাইমকে জিজ্ঞেস করলে শুরুতে তিনি তাজ্জব বনে বলেন, আমি খাওয়া দাওয়া করেছি? পরে ছবির বিষয়ে বলা হলে তিনি বলেন, আমাকে আমার এক সিনিয়র ডেকেছে। আমাকে বলা হয়েছে এক সিনিয়র ভাই খাওয়াবে। কিন্তু কে খাওয়াইছে তা আমি জানি না। আমি খাওয়াদাওয়া করেছি এটা ঠিক। কিন্তু আমি আয়োজক না। আয়োজক কে ছিল তা আমি বলতে পারব না।
এ দিকে বাগছাসের সমর্থিত ঐ হলের আরেক সদস্য প্রার্থী রিয়াদুস সালেহীনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি
মন্তব্য করুন