গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা যখন চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, তখন আরেকটি বিষয়ে নিয়ে দেশজুড়ে চলছে তীব্র বিতর্ক আর সমালোচনার ঝড়। কেউ এনসিপি নেতাদের দিচ্ছেন গালি; আবার কেউ ভাসাচ্ছেন প্রশংসার বানে।
হামলার সময় পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, সেনাবাহিনীর এপিসি দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয় দলের শীর্ষ নেতাদের। আর এই এপিসিতে ওঠা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় নানা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। অনেকেই এনসিপি নেতাদের ভীতু, কাপুরুষ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে, এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টে দলের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
এনসিপির এই নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন- অনেকেই দেখছি, হামলার মতো একটি ভয়াবহ ঘটনার চেয়ে সেনাবাহিনীর এপিসিতে ওঠার ঘটনাটিকে বড় করে দেখছেন। কয়েক হাজার অস্ত্রধারীর মধ্যে আমরা চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম—সেটা কারও চোখে পড়ল না। এটা সত্যিই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, আমাদের নেতারা আমাদের সঙ্গে হাইস, নোয়াহ গাড়িতে চলাফেরা করেন। এসব গাড়িতে সামান্য ইট পড়লেই কাচ ভেঙে যায়। আপনারা যাদের ভীতু বলছেন, তারা উন্নতমানের প্রটেকটেড গাড়িতে ঘোরেন না, তাদের সিকিউরিটির বহরও নেই।
পোস্টে তুহিন লিখেন—সেনাবাহিনী যখন আমাদের রেস্কিউ করতে আসে তখন বাইরে গুলি ও ককটেলের ভয়াবহ হামলা চলছিল। সেনাবাহিনীর স্পষ্ট নির্দেশ ছিল—সবার নিরাপত্তার জন্য একে একে সবাইকে এপিসিতে তোলা হবে।
প্রথমে দলের নেতারা একসঙ্গে নিজেদের গাড়িতেই যেতে চান জানিয়ে তুহিন বলেন, বিশেষ করে নাহিদ ও হাসনাত জানিয়ে দেন- সবাই একসঙ্গে যাবো, গাড়িতে করেই। এ নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রায় আধাঘণ্টা দেনদরবার চলে। পরে সেনাবাহিনীর এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাকে বলেন—শীর্ষ নেতারা জাতীয় সম্পদ। অন্তত, তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া জরুরি।
তুহিনের ভাষায়, অনেকটা জোর করেই ওনাদের এপিসিতে তুলে দেই। কিন্তু ওনারা আবার নেমে যান। সুঠাম দেহের হাসনাত ভাই ও নাহিদ ভাইকে দ্বিতীয়বার ধস্তাধস্তি করেই তোলা হয় এপিসিতে।
প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলে তুহিন বলেন- আমাদের বহরের একটি গাড়িতে গুলি লাগে, চাকায় আঘাত হয়ে পাংচার হয়ে যায়। প্রশাসনের ব্যাকআপ নিয়ে আর কিছু বললাম না। মনে হয় তারা শুরুতে চেয়েছিল, হাসনাতরা মরে যাক।
মন্তব্য করুন