ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অগ্রিম পূরণ করা ব্যালট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পোলিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের দোতলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট পোলিং কর্মকর্তা হলেন জিয়াউর রহমান চৌধুরী, যিনি অমর একুশে হলের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সীমা আক্তারের পোলিং এজেন্ট রাজিমুল ইসলাম এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক এজেন্ট জানান, ভোটগ্রহণের শুরুতে এক ভোটারকে ব্যালটের দুটি কপি দেওয়া হয়। ভোটার উভয় ব্যালট পূরণ করে একটি ব্যালট বাক্সে জমা দেন এবং অপরটি একটি টেবিলে রেখে দেন।
পরে আরেক ভোটারকে ওই টেবিলে জমা দেওয়া পূর্বে পূরণ করা ব্যালট দেওয়া হয়। সেটি পূরণ করা অবস্থায় পেয়ে ভোটার ব্যালটটি ফেরত দেন। অভিযোগকারীরা জানান, বিষয়টি “সুশৃঙ্খলভাবে সামাল” দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে পোলিং কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “অনিচ্ছাকৃত হয়ে গেছে আরকি।”
ভোটগ্রহণ চলছে আট কেন্দ্রে
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে। ডাকসু নির্বাচনে ভোটারদের জন্য রয়েছে পাঁচ পাতার ব্যালট এবং হল সংসদের জন্য এক পাতার ব্যালট। সব মিলিয়ে একজন ভোটারকে ছয়টি ব্যালটে ভোট প্রদান করতে হবে।
চলতি নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এছাড়া ১৮টি হল সংসদের প্রতিটি তে ১৩টি করে পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১,০৩৫ জন। ফলে মোট ভোটদানের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪১টি।
ভোটারদের ভোগান্তি
এর আগে ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে প্রার্থীদের প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। এতে ভোটারদের স্বাভাবিক ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা ও ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন