নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুধু ক্ষুদ্রঋণের জনকই নন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার প্রভাব স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ যখন বাড়তি শুল্ক জটিলতায় পড়ে, তখন তিনিই সরাসরি চিঠি লিখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। অনুরোধ করেন তা স্থগিত রাখতে। তার এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করেই গতি পায় দ্বিপক্ষীয় আলোচনা।
বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে একটি শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পথে। খসড়া তৈরি হয়েছে, চূড়ান্ত আলোচনা হবে ৩ ও ৪ জুলাই ওয়াশিংটনে। চুক্তি হলে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত ৩৭ শতাংশ বাড়তি পাল্টা শুল্ক কিছুটা কমানো হতে পারে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
আলোচনায় অংশ নিতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান এর আগেই ইউএসটিআরের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। পরবর্তী বৈঠকেও তিনি উপস্থিত থাকবেন।
গত ৩ এপ্রিল, যুক্তরাষ্ট্র এই বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ৯ এপ্রিল। তবে বাংলাদেশের অনুরোধে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়, যার মেয়াদ শেষ হবে ৯ জুলাই।
বাংলাদেশ এরই মধ্যে প্রতিশ্রুতি রূপায়ন শুরু করেছে—যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম, বোয়িং উড়োজাহাজ ও তুলা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি বাজেটেও মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক শূন্য রাখা হয়েছে। বাণিজ্য সচিবের মতে, আলোচনায় বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে।
চুক্তি চূড়ান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারকেরা।
মন্তব্য করুন