ইউক্রেনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের চালান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কিয়েভ।
কিয়েবের কর্মকর্তারা বলছেন, এতে রুশ হামলা প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে এবং রাশিয়া আরও উৎসাহিত হবে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে তলব করে জরুরি সামরিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় বিলম্ব বা অনিশ্চয়তা আগ্রাসী রাশিয়াকে যুদ্ধ ও সন্ত্রাস চালিয়ে যেতে আরও উৎসাহিত করবে।
পেন্টাগনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেসব অস্ত্রের চালান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: ৩০টি প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, ৮ হাজার ৫০০টি ১৫৫ মিলিমিটার গোলা, ২৫০টির বেশি জিএমএলআরএস রকেট, ১৪২টি হেলফায়ার এয়ার-টু-সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র।
হোয়াইট হাউজের উপপ্রেস সচিব আনা কেলি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সবার আগে।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির গুরুত্ব তুলে ধরতে বলেন, ‘এই শক্তির প্রশ্নে কোনো সন্দেহ নেই—ইরানকে জিজ্ঞাসা করলেই উত্তর মিলবে ‘—ইঙ্গিত ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সাম্প্রতিক মার্কিন বোমা হামলার দিকে।
ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই নিজের অস্ত্রভাণ্ডারের দিকে নজর রাখতে হবে। তবে স্বল্পমেয়াদে ইউক্রেনের অস্ত্র সহায়তা বন্ধ করা উচিত নয়।
পেন্টাগন বলছে, আগের প্রশাসনের আওতায় অনুমোদিত অস্ত্র সহায়তার শেষ চালান পাঠানো হয়েছে। তবে নতুন করে আর কোনো অস্ত্র সহায়তা ঘোষণা হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স
মন্তব্য করুন