রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় দাড়িয়ে নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা জানালো আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এজলাসে বসেন। শুরুতেই মাইলস্টোন ট্রাজেডির ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, আপিল বিভাগের নিয়মিত বিচারকাজ চলবে। তবে এই নিহত আহতদের শ্রদ্ধায়। দুপুর ১ টার পর সুপ্রিম কোর্টে আর বিচারকাজ চলবে না। একই সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চকেও বিচারকাজ শুরুর আগে শ্রদ্ধা জানানোর নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এতগুলো মানুষের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত; জাতি বাকরুদ্ধ।
এদিকে প্রধান বিচারপতির পক্ষে রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া জানান, সারাদেশের আদালতগুলোকেও দিনের কার্যক্রম শুরুর আগে দাড়িয়ে নীরবতা পালনের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে আগামী তিনদিন কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ দেন।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরসহ এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। নিহতদের মধ্যে ৬ জনের মরদেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিশু, বাকি দুইজনের মধ্যে একজন পাইলট, অপরজন শিক্ষিকা। এ পর্যন্ত ২০টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৮ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এছাড়া বার্ন ইউনিটে দুইজন ভেন্টিলেশনে আছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন