রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে হাজারো মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ফলে ইনস্টিটিউটের ভিতরে রোগীদের চিকিৎসা দিতে বেগ পোহাতে হয়।
হাসপাতালের বারান্দা থেকে সামনের রাস্তা ও আশেপাশে এলাকাসহ সর্বত্রই একই চিত্র। মূলত রোগীদের স্বজন, স্বেচ্ছাসেবক, ও বিপুল সংখ্যক বহিরাগতের অযাচিত উপস্থিতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে প্রধান ফটকের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। তারা নিজস্ব পরিচয়পত্র ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। রোগীর স্বজনদের বেলায়ও এমনটি করা হচ্ছে।
সেখানে অপেক্ষা করছেন বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মী ও বহিরাগত। তাদের সরাতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রেডক্রিসেন্ট সদস্যদের সঙ্গে অসদারণ আচরণ করা হচ্ছে। এতে কিছক্ষণ পর পর উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ইনস্টিটিউটের পরিবেশ। কেউ শুনছেন না কারও কথা। যে যার মত চলাফেরা করছেন। এদিক–সেদিক ঘুরাফেরা করছেন।
আর সামনের রাস্তার অবস্থা আরও নাজুক। বহিরাগত, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও রক্তদানে আগ্রহীদের উপস্থিতিতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে বঙ্গবাজার ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
সেখানে আগত কয়েকজন জানান, তারা মানবিক দিক বিবেচনায় দেখতে এসেছেন। আবার কেউ কেউ জানান তারা রক্ত দিতে আগ্রহী।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল (২১) স্বজন ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে চিকিৎসা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। তাই আজ সকাল থেকেই সেনাবাহিনীর সহায়তায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তারপরও নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি মনে করেন, এমনটি চলতে থাকলে চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়।
সরকারি হিসাব মতে এতে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭৮ জন। এদের বেশিরভাগই বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য করুন